{[['']]}
ডেস্ক নিউজ : ভারতের ন্যাশনাল
ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) সে দেশের ২০১২ সালের সংঘটিত অপরাধের
পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। এ পরিসংখ্যানের মাধ্যমে উঠে আসা ভয়ঙ্কর একটি তথ্য
হলো- ভারতজুড়ে প্রেম এবং যৌনতাকে কেন্দ্র করে যে সংখ্যক খুনের ঘটনা ঘটে, তা তালিকার তৃতীয়
অবস্থানে রয়েছে।
সম্প্রতি ব্যাপক আলোচিত নির্ভয়া ধর্ষণ ও
হত্যাকাণ্ডসহ একের পর এক গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাগুলোর নির্মম বাস্তব চিত্রই
যেনো এনসিআরবি-এর এই পরিসংখ্যান।
ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা এবং
সম্পত্তি নিয়ে বিরোধকে খুনের প্রথম দুটি কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু
প্রেম ও যৌনতার কারণে খুনের নির্মমতা ও এর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা
মারাত্মক রকমের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ভারতবাসীদের। এ ছাড়াও সবচেয়ে বেশি
খুনের ঘটনা ঘটে এমন ৭টি প্রদেশকে চিহ্নিত করা হয়েছে এ পরিসংখ্যানে। এর
মধ্যে অন্ধ্র্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং পাঞ্জাব রয়েছে।
২০১২ সালের পরিসংখ্যান বলছে, ওই বছরে মোট ১৩ হাজার
৪
শ
৪৮টি খুনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৮ শ ৭৭টি খুনের কারণ
ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা পরায়ণতা। ৩ হাজার ১ শ ৬৯টি
খুনের সংখ্যা নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ। আর
প্রেম-যৌনতার কারণে হত্যা করা হয়েছে ২ হাজার ৫ শ ৪৯ জনকে। তৃতীয় অবস্থানে
থাকলেও খুনের কারণ ও তার সংখ্যার হিসেবটি বড় বেশি অস্বাভাবিক।
এ গেলো গোটা দেশের গড় চিত্র। আলাদাভাবে প্রদেশগুলোর
পরিসংখ্যান আরো বেশি লোমহর্ষক। পৃথকভাবে অনেক প্রদেশে অধিকাংশ খুনের কারণ হিসেবে এই
প্রেম ও যৌনতা চলে এসেছে প্রথমে। অন্ধ্রপ্রদেশে ৪৪৫টি খুন, উত্তর প্রদেশে ৩২৫টি
হত্যা, মহারাষ্ট্রে ২৫৪টি, পাঞ্জাবে ৮৩টি, জম্মু ও কাশ্মীরে
১১টি, হিমাচলে ১০টি এবং
নাগাল্যান্ডে ২টি খুনের ঘটনা ঘটেছে পারস্পরিক সম্পর্ক ও যৌনতাকে
কেন্দ্র করে।
এছাড়া তামিল নাড়ুতে ২৯১টি, গুজরাটে ১১৬টি এবং
দিল্লিতে ৫৪টি খুনের পেছনের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে মানুষের এই
মানবীয় বিষয়গুলো। পাশাপাশি এসব প্রদেশে প্রায় সমান সংখ্যক খুন হয়েছে প্রতিশোধ
বা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে।
এনসিআরবি গত বছরের আগের কিছু
হিসেবও সংক্ষিপ্ত আকারে দেখিয়েছে এ পরিসংখ্যানে। রাজনৈতিক কারণ, সম্পদ দখল, ব্যক্তিগত আক্রোশ
যেকোনো হত্যাকাণ্ডের সাধারণ কারণ হিসেবে উঠে আসে অধিকাংশ সময়। কিন্তু
সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের জটিলতা বা যৌনতার মতো
মানবীয় বিষয় খুনের কারণ হয়ে দেখা দিচ্ছে অতিমাত্রায়। স্বাভাবিকভাবেই, ভারতের বিবেকবান
আমজনতা থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ মহল সবাই এখন মাথা ঘামাচ্ছেন এ পরিসংখ্যান নিয়ে।
১৫.০৯.২০১৩/বিডি টকিস/এসআর
Post a Comment